নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : চিকিৎসা বাবদ বিলের মেমো চাওয়ায় বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের (ইইডি) সহকারী প্রকৌশলীকে মারধর করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে নগরীর বগুড়া রোডের সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রকৌশলী জানিয়েছে, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। নয়তো ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাদের মেরে ফেলতো। তিনি দাবী করেন, বহিরাগতদের ডেকে এনে তাকে মারধর করা হয়। তবে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জানা গেছে, বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের (ইইডি) সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামের ভাগ্নে সুমন গাজীর বাম হাতের একটি আঙ্গুল ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ভাগ্নের আঙ্গুলের চিকিৎসার জন্য সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমানের সাথে ৫ অক্টোবর ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। ওইদিনই চুক্তির সমূদয় টাকা পরিশোধ করেন তারা।
তবে টাকা পরিশোধের কোনও মেমো তাদের দেয়নি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। নির্ধারিত ২১দিন শেষে সোমবার দ্বিতীয় অপারেশন করেন ডা. হাবিবুর রহমান। এরপর রোগীর কাছে আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। এই টাকা না দিলে রোগীর ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা চাওয়ার কারন এবং আগের নেয়া বিলের টাকার ভ্যাট ও আয়কর পরিশোধিত মেমে চান ডা. হাবিবুর রহমানের কাছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ডা. হাবিবুর রহমান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হন।
এক পর্যায়ে তিনি মুঠোফোনে তার স্বজনদের ডেকে এনে প্রকৌশলী শহীদুলকে মারধর করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রকৌশলী শহীদুল জরুরী সেবা হটলাইন ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগীতা চান।
তবে রোগীর আঙ্গুল অপারেশনের জন্য অতিরিক্ত কোনও টাকা চাওয়া হয়নি এবং রোগীর স্বজন শিক্ষা বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী শহীদুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি করেন সাউথ বেঙ্গল ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান। টানাটানিতে তার শর্টের বোতাম ছিড়ে যেতে পারে বলে দাবি তার।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
সান নিউজ/এসএমএইচ/এসএম