নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মেহেদী রাঙ্গা হাত নিয়ে বিবাহের পরের দিনই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুলতান মাহমুদ বাদশা (২৫) নামের এক যুবক।
রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯ টায় উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের ভাভিয়াপাড়া ওমর আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র একদিন আগে গতকাল শনিবার ওমর আলী হাজী বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ বাদশা সাথে পার্শ্ববর্তী ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের সুরত ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ হানিফের মেয়ে পূষ্প আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। রোববার সকালে বড় বোন লিজা আক্তার বড় ভাই এবং ভাবির জন্য নাস্তা নিয়ে যায়। এ সময় ভাইকে রুমে না পেয়ে সে এদিক-ওদিক খুঁজতে থাকে। পরে
পার্শ্ববর্তী রুমের দরজা বন্ধ থাকায় একাধিকবার দরজা খুলতে বলে সে। দীর্ঘক্ষণ পরেও দরজাটি না খোলায় সবার মধ্যে সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো বাদশার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে সবাই চিৎকার শুরু করে।পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত বাদশার বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, তার একমাত্র ছেলে বাদশা কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তার কোন কারণ তিনি জানেন না এবং জানার আগ্রহ নেই বলেও জানান তিনি।
সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
সান নিউজ/এনকে