নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালে ইলিশ রক্ষা অভিযান চালাতে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মৎস কর্মকর্তা এবং পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে হামলার পর এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তিন দপ্তরের ঠেলাঠেলিতে মামলাও দায়ের হয়নি। একে অপরকে দায়িত্ব দিয়ে নিজেকে সেইভ সাইডে রাখছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদী ও তার শাখা খালে অভিযান শুরু করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জাকারিয়া জিকু, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্যামতসহ বন্দর থানার ১০ পুলিশ সদস্য। তেঁতুলিয়ার একটি শাখা খাল অতিক্রম করার সময় খালের দুইপাশ থেকে হঠাৎ ইট, মাটির ঢেলা আভিযানিক দলের ওপর নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে দুইজন কনস্টেবল এবং স্পীডবোট চালক আহত হন।
ভ্রাম্যমান আদালতের ওপর হামলার ঘটনায় বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হােসেন বলেন, “এ ঘটনায় পুলিশ মামলা করতে পারে না। কারন ইলিশ রক্ষা অভিযানে পুলিশ হচ্ছে সেকেন্ড হ্যান্ড। আমাদেরকে ডেকে নেয়া হয়। আর ওই অভিযানের প্রধান কর্মকর্তা হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ছাড়া আমরা কোন মামলা দায়ের করতে পারি না।”
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্যামত বলেন, “মৎস অধিদপ্তর এ ঘটনায় মামলা দায়েরের এখতিয়ার রাখেন না। মূলত অভিযানের ফোকাল পার্সন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। মামলা দিলে তিনিই দিতে পারেন।”
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিবুর রহমান জানিয়েছেন, “আমি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে গিয়েছি। আমিই যদি মামলা দেই তাহলে বিচার করবে কে? এখানে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। সরকারি কাজে বাধা দিলে পুলিশ মামলা দায়ের করেন। এখানেও তেমন হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এই সময়ে ইলিশ শিকার, সংরক্ষণ, পরিবহন এবং বিপনন আইনত দন্ডনীয়।
সান নিউজ/এমএইচ/এস