নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট : সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তের পর আদালতের গঠনকৃত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন হাইকোর্টে জামা দিয়েছে । তবে প্রতিবেদনের বক্তব্য জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিচাপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চে এ প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
এ সময় জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ১৭৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বেলা ১১টায় জমা হয়েছে। এখনো দেখার সুযোগ হয়নি। আগামী ১ নভেম্বর শুনানি হবে। এ ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও এ ঘটনার প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে আনা আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত ছিলেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত এমসির ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের ঘটনাটি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করে দেয়। সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, মুখ্য মহানগর হাকিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সাধারণ) সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ২৭ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজের গণধর্ষণের ঘটনার প্রকাশিত খবর-প্রতিবেদন নজরে এনে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন প্রয়োজনীয় আদেশের আবেদন জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের প্রাঙ্গণে স্বামীকে বেঁধে প্রাইভেট কারের ভেতর নববধূকে গণধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বাদি হয়ে এসএমরি শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করা হয়।
পরে র্যাব ও পুলিশ এজাহারভুক্ত ছয় আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত মোট আটজনের সবাইকে পাঁচদিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে আটজনই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সান নিউজ/এক/এস