নিজস্ব প্রতিনিধি, চাঁদপুর : নদী ও সাগরে ইলিশ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কিছু জেলে অবৈধভাবে মাছ শিকার করেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ৩৬ জন জেলেকে আটক করেছেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যরা। তাদের মধ্যে ৩১ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে জরিমানা করেছেন পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (১৮ অক্টোবর) সকালে এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবিদা সিফাত, অলিদুজ্জামান ও মতলব উত্তর ইউএনও স্নেহাশীষ দাস। শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টা থেকে রোববার (১৮ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত মতলব উত্তর, সদর ও হাইমচর উপজেলা টাস্কফোর্স মেঘনা নদীতে অভিযান চালায়।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সকাল ১১টায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ৩৬ জেলের মধ্যে চাঁদপুর কোস্টগার্ডের পৃথক দু’টি অভিযানে আটক হন ২৪ জন। হাইমচর কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে আটক করে আট জেলেকে এবং মতলব উত্তর উপজেলা টাস্কফোর্স আটক করে চার জেলেকে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি বলেন, কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক ২৪ জেলের মধ্যে ১৪ জনকে এক মাস, নয় জনকে ২০ দিন করে কারাদণ্ড এবং একজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মতলব উত্তরের আটক চার জেলের মধ্যে একজনকে এক মাস কারাদণ্ড এবং তিনজনকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া হাইমচর উপজেলায় আটক আট জেলের মধ্যে সাতজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং একজনকে পাঁচশ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বংশ বিস্তারে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটারসহ ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, মজুদ, বেচা-কেনা ও সরবরাহ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্য করলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
সান নিউজ/এনকে/এস