ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ :
জেলা পরিষদের নির্বাচন মানে একটু ভিন্ন আমেজ। অন্যান্য নির্বাচনের মতো হাকডাক নেই। নেই মিছিল কিংবা সভা-সমাবেশ। গণসংযোগও চোখে পড়ে না। তবে প্রার্থীরা সব কিছুই করেন নীরবে। কারণ তাদের ভোটার আমজনতা নয়, কেবল মাত্র জনপ্রতিনিধিরাই তাদের ভোটার। এটি এমনই এক নির্বাচন প্রার্থীর ভোট নেই। এক্ষেত্রে দেখা যায় কারো ভোটের বাক্সে একটি ভোটও পড়ে না।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের সদস্য পদের শুন্য পদে উপ-নির্বাচন আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের বাকী আর মাত্র দুই সপ্তাহ। এই চিন্তা মাথায় রেখে প্রার্থীরা দিনরাত দৌড়াচ্ছেন ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) কাছে। নিজের পক্ষে ভোট আনতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। জনপ্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরছেন নিজের গুণের কথা।
ওই ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন চার জন। প্রার্থীরা হলেন- আব্দুল্লাহ সরদার (হাতি), আব্দুল মালেক মাদানী (অটোরিকশা), মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন (তালা) ও আব্দুল ওয়াহেদ (টিউবওয়েল) প্রতীক।
এদের মধ্যে আব্দুল্লাহ সরদার, মালেক মাদানী, আব্দুল ওয়াহেদ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। আর জালাল উদ্দিন কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই লড়ছেন নির্বাচনে। তবে তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে পরিচিত।
ভোটাদের (জনপ্রতিনিধি) সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা কাকে ভোট দিবেন মুখখুলতে নারাজ। কারণ তারাও জনপ্রতিনিধি, তাদেরকেও পরবর্তী সময়ে তাদের (প্রার্থীদের) কাছে ভোট চাইতে হবে।
একটি অনুন্ধানে জানা যায়, কম ভোটের খেলায় ভোটারদের আদর-কদর একটু বেশি হয়। প্রার্থীরা ভোটারদের (জনপ্রতিনিধি) বাড়িতে মিষ্টিসহ বিভিন্ন জাতের ফল নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তাতেও খুশি না হলে ইঙ্গিত দেন অন্য কিছুর।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন- নির্বাচনী এলাকাগুলো হলো- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর, ব্রাহ্মণডুরা, শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা, বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন, চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদ।
নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৮১ জন।
সান নিউজ/বিএস