এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি : ‘নিক থ্রো অ্যান্ড ক্যাচ’ ক্যাটাগরিতে ৩০ সেকেন্ডে ৩৩ বার অর্থাৎ কাঁধ দিয়ে ফুটবলকে শূন্যে ভাসিয়ে আবার কাঁধের ওপর নিয়ে আসার ফ্রি স্টাইলটির দ্বিতীয় বার গিনেজবুকে নাম লিখিয়েছেন ঝালকাঠির জুবায়ের। ২০ সেপ্টম্বর গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ জুবায়েরকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রেকর্ড ছিলও ইন্ডিয়ার তরুন কুমার নামের এক ছেলের। তার রেকর্ড ছিল ৩০ সেকেন্ডে ২৯ বার।
সম্প্রতি জার্মানির এক যুবকের ৬০ সেকেন্ডে ৬২ বার বল শুন্যে বাসানো রেকর্ড ভেঙ্গে যুবায়ের ৬০ সেকেন্ডে ৬৫ বার করে প্রথম রেকর্ড করে গিনেজ বুকে নাম লিখে ঝালকাঠিবাসিকে গর্বিত করেন।
ক্রিকেট ও ফুটবলের প্রতি আগ্রহ থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুল পর্যায়ের টিমেও সুযোগ পায় আশিকুর রহমান জুবায়ের। তারপর ফুটবলকে ঘিরে এমন কিছু একটা করতে চেয়েছিলেন যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। আর সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই কাঁধের ওপর ফুটবল নাচিয়ে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে দ্বিতীয় বার নাম লিখিয়েছেন ঝালকাঠি জেলা সদরের মসজিদ বাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা ও বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আশিকুর রহমান জুবায়ের (২২)। বিশিষ্ট ঠিকাদার জালাল আহম্মদ ও রোকসানা আহম্মদ দম্পতির চার ছেলে সন্তানের মধ্যে সবার কনিষ্ঠ জুবায়ের। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা চালিয়ে যাওয়ায় পরিবারের ছিলও সার্পোট ও সহযোগীতা। ২০১৪ সালে ঝালকাঠি সরকারি হাই স্কুল থেকে কমার্স বিভাগে ‘এ প্লাস’ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেন জুবায়ের। এরপর ঢাকার মোহাম্মদপুরের রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে ‘এ’ গ্রেডে এইচএসসি পাশ করে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হন।
পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল ও ক্রিকেটের আগ্রহ থাকায় টেলিভিশন, মোবাইলে পৃথিবীর নামীদামি খেলোয়াড়দের খেলা দেখতেন। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে সময় দিতে থাকেন ভিন্ন ধারার ফুটবলের এই খেলায়। দ্বিতীয় বার গিনেজবুকে নাম লিখিয়েছেন জুবায়ের। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ ২২ বছরের তরুণ মান উন্নয়নের বিকাশ ঘটাবে। এতে দেশ ও জাতি আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
জুবায়েরের বাবা জালাল আহম্মদ বলেন, খেলাধুলা করে দেশে খুব বেশি সাফল্য পাওয়া যায় না। এমন ধারণা থেকেই ছেলেকে পড়াশোনার প্রতি বেশি মনোযোগী হতে বলি। এখন সে দ্বিতীয়বার বিশ্বরেকর্ড করেছে। এ থেকে কী হবে জানি না। তবে চাই সে করুক। পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে যাক।
সান নিউজ/আরকে/এস