নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা : কুমিল্লায় পুকুরে বড়শী দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী। ধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) শিশুটির বাবা কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় ধর্ষক এবং তার দুই সহযোগীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাব্বী ও শরীফ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তবে ধর্ষক নান্নুকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বুধবার কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার তিন নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের বলরামপুরে একটি সবজি চাষকৃত জমির পাশের ঝোঁপের ভেতরে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামি হচ্ছেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়পুর গ্রামের (বড় মসজিদের দক্ষিণ পূর্বেদিকের মেম্বার বাড়ির সংলগ্ন) বাড়ির সাইফুল ইসলামের ছেলে নান্নু (১৭), কুমিল্লা সদর উপজেলার বলরামপুর এলাকার মৃত হারুন মিয়ার ছেলে রাব্বী (১৬) এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার জয়পুর গ্রামের আব্দুলের ছেলে শরীফ।
মামলার সূত্র জানা যায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার শিশুটি সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন জয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে ছোট্ট ছিপ ও বড়শি দিয়ে মাছ ধরার জন্য ধর্ষণের ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুরে মাছ ধরতে যায় শিশুটি।
তখন অভিযুক্ত রাব্বী এসে শিশুটিকে ১০ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে অপর দুই অভিযুক্ত নান্নু ও শরীফ রাব্বীর সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে যায়। তখন রাব্বী এবং শরীফের সহায়তায় নান্নু ভুক্তভোগী শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
কুমিল্লা কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক আরটিভি নিউজকে বলেন, শিশু ধর্ষণের মামলার রাব্বী ও শরীফ নামে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য কুমিল্লা কোর্টে পাঠানো হয়েছে। আসামিদেরকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এদিকে অপর আসামি ধর্ষক নান্নুকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
সান নিউজ/এম