নিজস্ব প্রতিনিধি, বরিশাল : মেয়েটি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার চৌ-রাস্তা এলাকায় এক ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির ভাড়াটিয়া। ১৫ বছর বয়সী দশম শ্রেণির ছাত্রী, পড়েন ওই এলাকার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে। কিন্তু বিয়ের প্রলোভনে পড়ে ১০ অক্টােবর পালিয়ে ১১ অক্টোবর বরিশালে পৌঁছান সেই স্কুলছাত্রী। এসে প্রেমিক ফয়সাল খান ও তার বন্ধুদের সাথে সময়ও কাটান বেশ ভালো। কিন্তু নৌ-ভ্রমণে বেড়িয়ে সর্বনাশ হয় জীবনের।
শায়েস্তাবাদ এলাকার চর হবিনগরের জঙ্গলে নিয়ে এক দফায় শারীরীক সর্ম্পক স্থাপন করেন তারা। তারপর ফয়সাল এবং তার প্রেমিকা নদীতে নেমে গোসল করেন। দুপুরের পর কাউনিয়া থানা এলাকাধীন পুষ্টি ও খাদ্য ইন্সিটিটিউটের ভবনের পিছনে যান তারা। বিষয়টি দেখে সন্দেহ দেখা দেয় স্থানীয়দের।
তারা ওই স্কুলছাত্রী ও সঙ্গে থাকা তরুণদের আটকের চেষ্টা চালান। কিন্তু টের পেয়ে তরুণরা পালিয়ে যায়। শেষে আটকের চেষ্টাকারীরা কাউনিয়া থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে স্কুলছাত্রীকে।
থানা থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মাকে জানানো হয়, তার মেয়ে পুলিশ হেফাজতে। খবর পেয় ১২ অক্টোবর বরিশালে ছুটে আসেন স্কুলছাত্রীর মা। দায়ের করেন ছয় জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা।
তবে অভিযুক্ত ধর্ষকদের পরিবার দাবী করেছে, ফয়সাল ও তার প্রেমিকাকে সেদিন আটকে যারা অর্থ আদায় করতে চেয়েছিল তাদের প্ররোচনায় পড়ে ধর্ষণ মামলা দিয়ে নিরাপরাধ ছেলেদের ফাঁসানো হচ্ছে। মূলত তারা প্রেমিক-প্রেমিকা।
তবে গাজীপুর থেকে আসা সেই স্কুলছাত্রী বরিশাল মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পলি আফরোজার কাছে ধর্ষণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। ১৩ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দী দেন তিনি। জবানবন্দীতে মামলার অন্যান্য অভিযুক্ত সবুজ হাওলাদার ( ৪০), মিরাজ হাওলাদার (২২), সাইদুল (২৫), সোহেল (২১) ও আল আমিন (২২) ধর্ষণে সহায়তা করেছে বলে উল্লেখ করেন।
আর মামলার বাদী দাবী করেছেন, নাবালিকা মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে গাজীপুর থেকে বরিশালে এনে ধর্ষণ করেছে অভিযুক্তরা।
কাউনিয়া থানার ওসি আজিমুল করিম জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা কেউ এখনো গ্রেপ্তার হননি। তবে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এই কর্মকর্তা বলেন, মামলার বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চলছে। প্রকৃত দোষী কে, সে অনুসারেই চার্জশীট দাখিল করা হবে।
সান নিউজ/এস/এম/এস