দিনাজপুর প্রতিনিধি:
কন্যা সন্তান হিসেবে জন্ম নেয়ার অপরাধে নিজের নবজাতক শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন এক পাষণ্ড মা।
সোমবার রাত ৮টার দিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ঐ রাতেই অভিযান চালিয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে। সঙ্গে ঘাতক মা কোহিনুর বেগমকেও আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ বছর আগে উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের নোহাইল গ্রামের মো. আবদুর রশিদের সঙ্গে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের খামার খড়িকাদম গ্রামের কোহিনুর বেগমের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর প্রথম কন্যাসন্তানের জন্মের ২ বছর পর গত সোমবার তাদের আরেকটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। তখন ছেলে সন্তানের প্রত্যাশায় থাকা কোহিনুর বেগম অনেকটা আশাহত হয়ে শিশুটিকে পানিতে ফেলে দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান।
শিশুটির বাবা মো. আবদুর রশিদ জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় স্বাভাবিকভাবে তার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। জন্মের সময় স্ত্রী ও কন্যা দু’জনই সুস্থ ছিলো। বিকালে তিনি বাজার করতে যান। রাত ৮টার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরে নবজাতকসহ কন্যা ও স্ত্রী নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশে উত্তর দিকে একটি পুকুরে শিশুটিকে ভেসে থাকা অবস্থায় দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার এসআই নিমাই কুমার রায় জানান, খবর শুনে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কর্মকর্তাসহ রাত ১২টায় ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করি। সঙ্গে ঘাতক কোহিনুর বেগমকে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
বীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নবী হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কন্যাসন্তানের প্রতি বিরাগভাজন হয়ে মা তার নবজাতক কন্যাকে হত্যা করেন। নবজাতকের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুরের এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
এ ঘটনায় নবজাতকের বাবা বাদী হয়ে কোহিনুর বেগমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সান নিউজ/সালি