নিজস্ব প্রতিনিধি, শেরপুর : সারাদেশ যখন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন নিয়ে তোলপাড় তখন তখনই আবারো অভিযোগ উঠেছে শেরপুরে শ্যালিকাকে (১৯) ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের। সেই অভিযোগে মুন্না খান (২৮) নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মুন্না সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের ছেলে। এইদিন বিকেলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহসিনা হোসেন তুষি তাকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করেন। বুধবার রিমান্ড শুনানীর তারিখ ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়। একই দিন জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর তার স্ত্রীর সিজারে বাচ্চা হলে তার দেখাশোনা করার জন্য বিবাহিত শ্যালিকাকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। দু’দিন থাকার পর শ্যালিকা ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাকে ঢাকা পর্যন্ত দিয়ে আসবে বলে রোববার সকালে গাড়িতে করে শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুরের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সে সকাল থেকে কয়েক দফায় তাকে ধর্ষণ করে এবং কয়েকজনের সহযোগিতায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে।
ওই সময় মুন্না ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে রোববার রাতে শ্যালিকা ৯৯৯ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ রাজবল্লভপুরের বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও মুন্নাকে আটক করে। পরে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে দুলাভাই মুন্না ও তার ৩ সহযোগীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনের পৃথক দু’টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
সান নিউজ/পিডিকে/এস