নিজস্ব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ : শুক্রবার সকালে কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে কাটা পড়েন মেয়ে। প্রাণপ্রিয় সন্তানকে বাঁচাতে ট্রেন থেকে লাফ দেন মা। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। ট্রেনে কাটা পড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিভে যায় মেয়ের জীবনপ্রদীপ। আহত হন সন্তানহারা মাও।
দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মেয়েটির নাম আনতারা মোকাররমা। ১৮ বছর বয়সী আনতারা কিশোরগঞ্জ শহরের ৩২ নুরানি সড়ক এলাকার মো. মোকাম্মেল হকের মেয়ে। আনতারার এবার কিশোরগঞ্জের সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। তিনি সংগীতশিল্পী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে আনতারা ও তার মা আছমা বেগম ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে আন্তনগর এগারসিন্দুর প্রভাতী ট্রেনে উঠতে যান। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় চলতি ট্রেনে দৌড়ে প্রথমে আনতারার মা আছমা বেগম ওঠেন। এরপর মায়ের হাতে ব্যাগ দিয়ে চলন্ত ট্রেনে ওঠার উঠতে গিয়ে পা পিছলে ট্রেনের নিচে পড়ে যান আনতারা। এতে তার দুই পা কাটা পড়ে। শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
চোখের সামনে মেয়েকে ট্রেনের নিচে পড়ে যেতে দেখে আছমা বেগমও ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে প্লাটফর্মে পড়ে সামান্য আহত হয়েছেন। কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আতাউল করিম জানান, মেয়েকে ট্রেনের নিচে পড়তে দেখে তার মা যেভাবে ট্রেন থেকে লাফ দেন, তা ঠিক হয়নি। এতে তিনিও বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারতেন।
সান নিউজ/পিডিকে/এস