আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের প্রভাবে রঙ হারিয়েছে জীবন-জীবিকার। পরিবর্তণ এসেছে ধর্মীয় উৎসবে। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার পরিধিও ছোট হয়ে গেছে। ফলে চট্টগ্রামের মৃৎশিল্পীদের ব্যবসায় ধস নেমেছে। এর আগে, মুসলিম সম্প্রদায়ের দুই ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপন হয়েছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে। যারা সারাবছর দুর্গাপূজার আয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন তারা আজ সব থেকে কষ্টে আছেন।
মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন, করোনায় প্রত্যেক মণ্ডপে পূজার বাজেট কমেছে। প্রতিমা বানানোর পর্যাপ্ত আদেশ এলেও এবার পরিধি অনেক ছোট। যারা বিভিন্ন ডিজাইনের বড় বাজেটের বড় বড় প্রতিমার বানানোর অর্ডার দিতেন, তারা এবার নামমাত্র মূল্যে ছোট প্রতিমা বানানোর অর্ডার দিচ্ছেন। এর ফলে দামও অর্ধেকে নেমে গেছে। মুনাফাও কম। অন্যান্য বছর মৃৎশিল্পীরা অন্তত ৭-৮ কোটি টাকার প্রতিমা বানালেও এবার সেটা অর্ধেকে নেমে গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুর্গাপূজা আয়োজনের অনুমতি মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। পূজার মাত্র একমাস আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা আয়োজনের অনুমতি এসেছে, তবে আড়ম্বরপূর্ণ জনসমাগম এড়াতে বলা হয়েছে।
পঞ্জিকা থেকে পাওয়া তথ্যমতে, আগামী ২২ অক্টোবর মহাষষ্ঠী তিথিতে বোধন ও দেবী বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। পরদিন সপ্তমী তিথিতে পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল আয়োজন। ২৬ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আয়োজন শেষ হবে।
সান নিউজ/এসএম