ফরিদপুরের সদরে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ার ঘটনায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহত বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জোয়াইড় এলাকার জোবায়দা-করিম জুটমিল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী, চারজন পুরুষ ও এক শিশু রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন— জেলার নগরকান্দা উপজেলার শেয়ারকান্দি গ্রামে জোয়ার সরদার (৭০), তার ছেলে ইমান সদ্দার (২৫), সন্তোষী এলাকার ভারতী সরকার (৪২), কাঠিয়া বড়গ্রামের দিপা খান (৩৬) ও লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বাসিন্দা আজিবর (৪৬), ফরিদপুর জেলা সদরের হাজিগঞ্জ এলাকার আলম শেখ (৪৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভাঙ্গা-ফরিদপুরগামী ফারাবী ডিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি উল্টে গিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের পিলারের মধ্যে বাসের একটি অংশ ঢুকে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো দুইজন মারা যান।
এ ঘটনায় আরো ১০-১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গাড়িটি দ্রুতগতির ছিল। একই সঙ্গে আরেকটি দ্রুত যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।