বগুড়ার রেলওয়ে এলাকায় ছাত্রদল নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রবিবার (৬ এপ্রিল) বগুড়া সদর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার রাত নয়টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন থেকে যাত্রী নামার সময় ভিড়ের মধ্যে হামলার শিকার হন ছাত্রদল নেতা। আহতরা হলেন- বগুড়া চকসূত্রাপুর এলাকার যোবায়ের হোসেন (২৩), পিয়াল (২০), নাঈম আহমেদ (১৮) এবং তানভীর রহমান (২০)। তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ট্রেনের যাত্রী নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণের প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা হামলা করে বলে দাবি করেছেন আহত ছাত্রদল নেতা যোবায়ের।
বগুড়া সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় রাতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। ছাত্রদল নেতাকর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতার এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বগুড়া জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান। তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রদলের সক্রিয় নেতা যোবায়েরের বাবা ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, হামলাকারী ইমন, মঈন ও মুন্না পেশাদার ছিনতাইকারী।
আহত যোবায়ের জানান, সোনাতলা থেকে পিয়াল এবং রিফাত পদ্মরাগ ট্রেনে আসছিলেন। সেই বগিতে সেউজগাড়ীর ইমন, মঈন, মুন্নাসহ চারজন যুবক একটি ব্যাগ রাখে। পাশে বসা দুই নারীর ওপর ব্যাগটি পড়ে গেলে সরিয়ে রাখতে বলে। এ নিয়ে নারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে নারীদের ইভটিজিং শুরু করেন ইমন, মঈন ও মুন্না। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে পিয়াল। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পিয়ালকে স্টেশনে নামার পর মারবে বলে হুমকি দেন। বিষয়টি ছাত্রদল নেতা যোবায়ের মুঠোফোনে জেনে স্টেশনে পিয়াল আর রিফাতকে নিতে আসে। ট্রেন থেকে যাত্রী নামার সময় ভিড়ের মধ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
সাননিউজ/ইউকে