নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশাল মেট্রোপলিটন (বিএমপি) পুলিশের কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারই সবচেয়ে বড় টিকা; যতক্ষণ না অনুমোদিত টিকা না আসে। একটি মাস্ক প্রায় ৮০ শতাংশ জনগণকে সুরক্ষা দিবে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে কোভিড- ১৯ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।
শাহাবুদ্দিন খান আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোর মানুষ যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে, বাকিদের সুরক্ষা সহজ। পরিবহন সেক্টরের প্রত্যেকে একেকজন যোদ্ধা; সৈনিক হিসেবে নিজেকে সুস্থ রেখে যাত্রীদের দূরত্ব-মাস্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। মনে রাখতে হবে আপনি আক্রান্ত হলে পরিবারসহ আরও পাঁচজন আক্রান্ত হবে। পর্যায়ক্রমে সবাই আক্রান্ত হবে। তাই এ যুদ্ধ শুধু একার বিষয় নয়, সবার অংশ নিতে হবে। নয়তো অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে, দেশ পিছিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন সেক্টর চাইলে দেশের বৃহৎ অংশ সুরক্ষিত রাখতে পারে। সুতরাং মাস্ক সঠিক ভাবে নিজে পড়তে হবে যাত্রীদেরকে মাস্ক পড়িয়ে গাড়িতে উঠাতে হবে।
যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ -পরিবহনে কর্তৃপক্ষের মাঝে একটা নিবিড় জনকল্যাণকর সম্পর্ক থাকবে। কল্যাণের নামে অগ্রহণযোগ্য কোন চাঁদা বা অনিয়মের অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আপনাদের আরও নির্ভেজাল পুলিশি সেবা দিতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ চলমান রেখেছি।
যাবতীয় অনিয়ম বন্ধে আমাদের ইন্টেলিজেন্স কাজ করছে। সত্যিকারের আস্থার পুলিশি সেবার বাইরে কোন আধিপত্য চলবে না। কোন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কোন প্রকার অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আমাকে জানাবেন। যে কোন ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আমাদের গোপনে বা প্রকাশ্যে জানাবেন। সবাই এক হয়ে কাজ করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি নিরাপদ পরিবহন সেবা উপহার দেয়া সম্ভব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিস, উপ-পুলিশ কমিশনার মোকতার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন মজুমদার, জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, খাইরুল আলম, খান মুহাম্মদ আবু নাসের, মনজুর রহমান পিপিএম বার, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আকরামুল হাসান প্রমূখ।
সান নিউজ/এস