নিজস্ব প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া : দেশে চারিদিকে চলছে ধর্ষণ উৎসব। মসজিদ থেকে মন্দির, স্কুল থেকে মাদ্রাসা, গ্রাম থেকে শহর, কোথাও যেন নিরাপত্তা নেই। সম্প্রতি দেশে বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। এর মধ্যেই কুষ্টিয়ার মিরপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, সোমবার (৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলার পোড়াদহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৪ অক্টোবর) উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদ্রাসায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ বলছে, ওই শিক্ষার্থীকে রোববার ফজরের নামাজের আগে এবং একই দিন রাতে দুদফা ধর্ষণ করেন মাদ্রাসা সুপার। পরে ঘটনা জানাজানি হলে গাঢাকা দেন কাদের। পরে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোমবার মাদ্রাসা ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ৬ দিন সে ওই মাদ্রাসায় থাকতো। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যেত, আবার শনিবার সকালে পৌঁছে দিত মাদ্রাসায়। গত শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেন। পরে ভোর রাতে ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন তিনি। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন। তবে মেয়েটি সোমবার সকালে তার এক সহপাঠিকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠি ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসায় হামলা চালায়। তারা ভাঙচুরও করে ওই মাদ্রাসায়।
মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সোমবার মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
সান নিউজ/ বিএম