নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেনের (পিপিএম) কাছে সেদিনের নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সেই নারী। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বেগমগঞ্জ মডেল থানার একটি কক্ষে ডিআইজি ভিকটিম ও তার স্বজনদের কথা শোনেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নির্যাতিতা নারীর মুখ থেকে বিস্তারিত ঘটনার বর্ননা শুনেছেন তিনি। এ ঘটনায় কী করণীয় সে বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের দিক নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছেন। ওই নারী ও তার স্বজনদের নিরাপত্তার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।
ডিআইজি আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, নোয়াখালীতে দেলোয়ার বাহিনীর মতো তথাকথিত যেসব বাহিনী রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। পরে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই নারীকে নির্যাতন করা সেই টিনের ঘর পরিদর্শনে যান ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
ডিআইজির সঙ্গে ছিলেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ও বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। গৃহবধূ বাধা দিলে তাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়।
ওই ভিডিও চিত্র ফেসবুকের ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দেয়া হয়। এতে রাজি না হওয়ায় পরে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ওই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ছাত্র-জনতা। ঢাকার শাহবাগ ও উত্তরায় দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বর্বরোচিত ওই ঘটনায় করা মামলায় রোববার রাত ১টার দিকে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার পর এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সাননিউজ/আরএইচ