জেলা প্রতিনিধি: রংপুর জেলায় পীরগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার দেলোয়ারা বেগমের (৩০) বিচ্ছিন্ন মাথা ও ৫ বছরের কন্যাশিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে যুবলীগ সভাপতির গাড়ি ভাঙচুর
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বড় বদনাপাড়া গ্রাম থেকে মাটি খুঁড়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পীরগঞ্জের চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের পাশে মরিচক্ষেত থেকে মাথাহীন অজ্ঞাতনামা ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ নিশ্চিত হয় হত্যার শিকার দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা। তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। পরবর্তীতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। দোলোয়ারার সঙ্গে পীরগঞ্জের বড় বদনাপাড়া গ্রামের আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক ছিল। তারা দুজন গ্রামগঞ্জে গান-বাজনা করে বেড়াতেন।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার আবু সাইম বলেন, নিহত দেলোয়ারা বেগমের সাবেক স্বামী পুলিশকে জানান তার সঙ্গে পাঁচ বছরের কন্যাশিশু ছিল। এরপর গ্রেপ্তার আতিকুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারেন দেড় মাস আগে ওই নারীর শিশু সাইমাকে হত্যার পর লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে গাছ বাগানে ৩ থেকে ৪ ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়। পুলিশ টিম নিয়ে সেখান থেকে মাটি খুঁড়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
সান নিউজ/এএন