নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা : খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এখন থেকে শুধু ই পাসপোর্ট আবেদন গ্রহণ করা হবে। রোববার (৪ অক্টোবর) থেকে বন্ধ হয়ে গেছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ।
www.epassport.gov.bd এ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে একজন গ্রাহক ঘরে বসে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন। ই-পাসপোর্টে আবেদনকারী নিজেই আবেদন ফরম পূরণ এবং সাবমিট করবেন ফলে এ পদ্ধতিতে আবেদনপত্র ভুল হওয়ার শঙ্কা থাকবে না । আবেদনকারী নির্ধারিত পাঁচটি ব্যাংক যেমন ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ট্রাষ্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়াও ঘরে বসে মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। এটি ছবি প্রদান ও সত্যয়নের ঝামেলামুক্ত, মোবাইল এসএমএস এবং অনলাইন ট্রাকিং সুবিধা রয়েছে। ই-পাসপোর্ট বহুসংখ্যক সিকিউরিটি ফিচার সম্বলিত একটি বিশ^মানের পাসপোর্ট ৭২ ঘন্টার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। তবে ইতিমধ্যে যারা এমআরপির জন্য আবেদন গ্রহণ করেছেন তারা নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট হাতে পাবেন। বর্তমানে যাদের এমআরপি পাসপোর্ট রয়েছে তারা সেই পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন পরবর্তীতে মেয়াদ শেষ হলে নবায়নের সময় তাদের ই পাসপোর্ট প্রদান করা হবে।
বিশ^মানের ই-পাসপোর্ট এর আবেদন ফি সর্বনিম্ন ৪ হাজার ২৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৮শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ই-পাসপোর্ট হবে দুই ধরণের। ৪৮ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছর এবং ৬৪ পৃষ্ঠার ই-পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর। তবে ১৮ বছরের নিচের এবং ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে আবেদনকারীরা ৫ বছর মেয়াদের ই-পাসপোর্ট পাবেন।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ই-পাসপোর্ট বিষয়ে খুলনার স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে খুলনা জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় জুম অ্যাপে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ই-পাসপোর্ট নতুন মাত্রা যুক্ত করবে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ই-পাসপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে গ্রাহকরা খুব সহজেই পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ তৌফিকুল ইসলাম খান, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম। এছাড়া অনলাইনে জুমে অ্যাপে যুক্ত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা।
সান নিউজ/এস