ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা, ফুল তুলিতে যাই, ফুলের মালা গলায় দিয়ে, মামার বাড়ি যাই। ঝড়ের দিনে মামার দেশে, আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে, রঙিন করি মুখ। পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের ‘মামার বাড়ি’ কবিতার বাস্তব রূপ দেখা পেতে বাকি রয়েছে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ। ইতিমধ্যে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। ভালুকা থানায় সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে আমের মৌ মৌ গন্ধ। মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। যে গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে। পাশাপাশি মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে আমের মুকুল।
আরও পড়ুন : বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতে ঘুরে দেখা যায়, আম গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। এ যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেঁয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। এদিকে মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলো। তবে উপজেলার গ্রামাঞ্চল গুলো ঘুরে দেখা যায় বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ ছাড়িয়ে পরেছে চারদিকে।
রঙিন বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে। আমের মুকুলে ভরপুর আর ঘ্রাণে ভালুকা থানার সর্বত্র জানান দিচ্ছে বসন্তের আগমনী বার্তা। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো প্রায় ৭০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল।
গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্যা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়।
আরও পড়ুন : ট্রাক থেকে ৮৬ লাখ টাকা মুল্যের চোরাচালানের পণ্য আটক
আম চাষি হাবিব জানান, পুরাপুরিভাবে এখনো সবগাছে মুকুল আসেনি। আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্খিত ফলনের আশা করছেন চাষিরা।
ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত জামান বলেন, ভালুকা উপজেলার বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের উৎপাদন বিগত বছরের তুলনায় অনেক বেশি পাওয়ার আশা করা যাচ্ছে। আবহওয়া অনুকূলে থাকায় এবার গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে ছাত্রাকজনিত রোগেও আমের মুকুল-ফুলগুটি আক্রান্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ম্যানকোজেট গ্রুপের ছাত্রাকনাশক দুই গ্রাম অথবা ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতিলিটার পানিতে দশমিক দুই গ্রাম, তরল দশমিক ২৫ মিলিলিটার ও সাইপারম্যাক্রিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতিলিটার পানিতে এক মিলিমিটার মিশেয়ে স্প্রে করতে হবে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
সান নিউজ/এমআর