জেলা প্রতিনিধি: পাবনায় আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর নৃশংসভাবে হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার, বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণ, আহত ১২
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে পাবনা শহরের ক্যাফে পাবনা ও পরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ সড়কে মানববন্ধন করে।অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
হিজবুত তওহিদের পাবনা জেলা শাখার সভাপতি, মোঃ মাহতাব উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ঘোষপুরের নফসারের ভাটা মোড় এলাকায় বাজিতপুরের মৃত আজিজুলের ছেলে মুন্না প্রামানিকের নেতৃত্বে আনুমানিক ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসীবাহিনী বন্দুক, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রড এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর নারকীয়ভাবে হামলা চালায়। এসময় কুপিয়ে ও গুলি করে অন্তত ১০ সদস্যকে আহত করে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তিনি পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ২৩ আগষ্ট চরঘোষপুরের ওই এলাকার কার্যালয়ে এই উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি অতর্কিত হামলা চালিয়েছিল। সেদিন রাতে প্রায় ৪০-৫০ জন সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সুজন মন্ডল নামের একজনকে হত্যা করে। সেই মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও বিগত সরকারের সময় মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করে। জেল থেকে সহজেই বেড়িয়ে এসে আসামিরা গত দেড় বছর ধরে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছে। এমনকি তারা মাঝেমধ্যে হামলা ও হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিল।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আশায়-প্রশ্রয়ে লালিত এই আসামিরা গত ৫ আগস্টের পরবর্তী অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মামলার বাদী সেলিম শেখের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাট চালায়। সম্প্রতি সময়ে তারা আবারও হুমকি-ধামকি দিচ্ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে আমরা সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলাম। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, সন্ত্রাসীরা রোববার রাতে আবারো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৭.৯ ডিগ্রি
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন, হেযবুত তওহীদের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সভাপতি শামসুজ্জামান মিলন, পাবনা জেলা সভাপতি, মোঃ মাহতাব উদ্দিন, সাবেক পাবনা জেলা সভাপতি সেলিম শেখ ও সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রমুখ।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, গতকাল এ ঘটনা জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকজন আহতকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এএন