মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: পদ্মা নদীর ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ৪০ বছর পূর্বে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের রজতরেখা নদীর পাশে জেগে ওঠা চরে আশ্রয় নিয়েছিলো ভূমিহীন পরিবার। এদের মধ্যে বারেক মোল্লা, রিদয় মোল্লা, নাজিম বেপারী, শাহিন মোল্লা সহ ২০টির মতো ভূমিহীন পরিবার।
দীর্ঘ বছর বসত করতে থাকায় এখানে কেউ তাদের বাঁধা দেয়নি। তবে তাদের প্রতিবেশী আজিজুল বকাউল গংরা সরকারি খাস জমি গুলো তাদের বলে দাবী করছেন। এতে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেন এখানে আশ্রয় নেওয়া অন্যান্য পরিবার গুলো।
আরও পড়ুন: সর্বদলীয় বৈঠক শুরু
আশ্রয় নেওয়া শাহা মোল্লার ছেলে শাহিন মোল্লা বলেন, ৪০ বছর আগে পদ্মা নদীতে যখন আমাদের সব কেরে নেয়। পরে আমরা নিঃস্ব হয়ে দিঘিরপাড় ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মূলচর রজতরেখা নদীর পাশে রাস্তায় আমরা অসহায় অবস্থায় আশ্রয় নেই। কখনো কেউ কিছু বলেনি। কিছুদিন পূর্বে আমার মায়ের থাকার ঘরটি ভেঙ্গে গেলে নতুন করে উঠাতে যাই।
এ সময় আমাদের প্রতিবেশি আজিজুল বকাউল, তার ভাই হুন্ডি ব্যবসায়ী মিজান বকাউল, ছেলে এনামুল বকাউল, নাজমুল বকাউল গংরা আমাদের ঘর তোলতে বাঁধা দেয়। এই জমি তাদের দাবী করে এখান থেকে ঘর ভেঙ্গে অন্য জায়গায় চলে যেতে বলেন। অথচ এই আজিজুল বকাউল গংরাও খাস সরকারি জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজিজুল বকাউল গংরা অবৈধ কাজ কর্ম করে অনেক টাকার মালিক হয়ে ক্যাডার বাহিনীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা সরকারি জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। সরকার যেদিন এই জমি ছেড়ে দিতে বলবে সেদিন চলে যাবো। কোনো ক্যাডার বাহিনীর কথায় আমরা এই জমি ছাড়বো না।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আজিজুল বকাউল এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এমএইচ