নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশাল নগরীর অমৃতলাল দে সড়কে তৃষা হালদার নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ জন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃষার স্বামী সুমন কর্মকারকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ।
তবে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাচ্ছে গৃহবধূর স্বামীর পরিবার। শুক্রবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটলেও শনিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে গৃহবধূকে হাসপাতালে নেয়ার বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্বরূপকাঠী উপজেলার বেলেডাঙ্গা গ্রামের সুদেব হালদারের কন্যা তৃষা হালদারের বিয়ে হয় দুই বছর আগে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে তৃষার গলায় ওড়ানো পেচানো অবস্থায় খাটের উপর শোয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপর তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তৃষার মৃত্যু হয় বলে দাবী তাদের। পরবর্তিতে পুলিশ খবর পেয়ে তৃষার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী কমিশনার মো. রাসেল বলেন, “গৃহবধূর হাতে ও গলায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। তাই তারা প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার মামলা নিয়েও সুরতহাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত হতে পারবেন। সে জন্য তার স্বামী সুমন কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।”
গৃহবধূ তৃষার বাবা সুদেব হাওলাদার বাল্যে এবং মা কনিকা হাওলাদার দুই বছর আগে মারা যাওয়াতে তার পক্ষে কথা বলার তেমন কেউ নেই বলে জানা গেছে।
সান নিউজ/এস