জেলা প্রতিনিধি: ৩০ লাখ মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় লাল-সবুজের পতাকা। শত শত সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ ও হাজার হাজার মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়ে বিজয় নিশান ওঠে বাঙলার বুকে।
আরও পড়ুন: ৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
কাল বীর সন্তাদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে নামবে হাজারো মানুষের ঢল। তাই ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রাঙ্গণকে করা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। রং তুলির আঁচড় ও বাহারি ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছে আভায় তৈরি করা হয়েছে লাল-সবুজের পতাকা। মেঝেতে রং তুলির আঁচড়ে করে তুলা হয়েছে পরিপাটি। বিভিন্ন ফুলগাছি ছড়াছে মনোমুগ্ধকর সুবাস। এছাড়া লেক সংস্কার ও স্মৃতিসৌধের পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত ধুয়ে-মুছে করা হয়ে পরিষ্কার। স্মৃতির মিনারের শহীদ বেদী শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টামন্ডলী, বিদেশি কূটনীতিকসহ লাখ লাখ জনতা বীর শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপরে সর্ব সাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সেজন্য গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রং করা, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, লেক সংস্কার, সীমানা প্রাচীর মেরামতসহ সব কাজ সম্পূর্ণ করেছি। বর্তমানে জাতীয় স্মৃতিসৌধ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: কাভার্ড ভ্যানের চাপায় এসআই নিহত
অন্যদিকে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এ কে এম আওলাদ হোসেন বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধ ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজর রাখবে।
এছাড়াও এ বছর ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিজয় দিবস ঘিরে দীর্ঘ ১৭ বছর পরে ভিন্ন মাত্রায় প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
সান নিউজ/এএন