গাইবান্ধা প্রতিনিধি: রওশন আলী প্রামানিক। যুবক হলেও মাঠে বিভিন্ন ফসল উৎপাদনই তার নেশা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে অধিক লাভের আশায় চলতি বছর চাষ করেছেন তুলা। ওই তুলা ক্ষেত থেকে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখেছেন কৃষক রওশন আলী প্রামানিক। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে পা দিলে দেখা যায় রওশান আলীর তুলা ক্ষেতে সবুজের সমাহার। এসব গাছের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে থোকা থোকা ফুল।
আরও পড়ুন : চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল শুরু
জানা যায়, উপজেলার উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার প্রামানিকের ছেলে রওশন আলী প্রামানিক। নিজের রয়েছে কৃষিজমি। উঁচু জমিতে শাক-সবজিসহ নানা ধরণের ফসল উৎপাদন করেই সংসার চলে তার। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন ফসল তুলা চাষ করে আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখেন তিনি। এরই মধ্যে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শে গত বছরে দেড়বিঘা জমিতে তুলা চাষ করছিলেন। এখান থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা লাভ করেন রওশন আলী। এরপর চলতি মৌসুমে এক একর জমিতে তুলা চাষ করেন। ক্ষেতে তুলার গাছ ভাল হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত শ্রাবণ মাসে বীজ রোপণ করে ইতোমধ্যে গাছে গাছে ছেয়ে গেছে তুলাফুল। এসব ফুল থেকে উৎপাদিত হবে তুলা। আগামী মাঘ-ফাল্গুন মাসে সংগ্রহ করা হবে সেই কাঙ্খিত তুলা ফসল।
এলাকার শাহজাহান মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, ইতোমধ্যে রওশন আলীর তুলা চাষে লাভবান হলে আগামী বছর তিনিও তুলা চাষ করবেন।
আরও পড়ুন : ঝালকাঠিতে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত
কৃষক রওশন আলী প্রামানিক বলেন, তুলা উন্নয়ন বোর্ডের পরামর্শে চলতি বছরে এক একর জমিতে রূপালী জাতের তুলা চাষ করেছি। এতে সার-কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ হবে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা তুলা বিক্রি করা সম্ভব হবে।
উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন মন্ডল বলেন, তুলা চাষ অত্যন্ত লাভজনক। কৃষকদের লাভবান করতে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এমআর