খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: পার্বত্য শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংবিধান বিরোধী, বৈষম্যমূলক দাবী ও চুক্তির বিতর্কিত ধারা সমূহ বাতিলের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
সোমবার (০২ ডিসেম্বর ) জেলা শহরের এফএনএফের হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি সংবিধান বিরোধী ও বৈষম্যমুলক বলে মন্তব্য করেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. লোকমান হোসেন।
তিনি দাবী জানান, চুক্তির পূর্নমূল্যায়ন, পাহাড়ে শান্তি স্থাপন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, এবং পাহাড়ের বিরাজমান পরিস্থিতি ওবিভাজমান সংঘাত বন্ধে, শান্তি বিনষ্ট ও ব্যর্থতার অভিযোগে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে অপসারণ।
বক্তরা বলেন, শান্তি চুক্তি ২৭ বছরে পদার্পন হলেও পাহাড়ের শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, বরং সন্তু লারমা চুক্তি শর্ত ভঙ্গ করেছেন। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী অস্ত্র জমা দিয়ে তাদের প্রতিটি সদস্য স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা। যা তিনি পূরন করতে ব্যর্থ হয়েছে। পাহাড়ে এখন অস্ত্র পরিহারের আদলে বিভিন্ন নামে
অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়ে তিনি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, ২৭ বছর আগের করা চুক্তি বর্তমান পেক্ষাপটে যথোপযুক্ত নয়। দেশের সংবিধান সময়োপযোগী করে সংস্কার করা হলেও চুক্তি একই ধারায় রয়ে গেছে। সাংঘর্ষিক ধারাগুলো বাতিলের দাবি জানান। শান্তি চুক্তি শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৩৮টি নিরাপত্তা বাহিনীর সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩০টি দপ্তর হস্তান্তরিত করা হয়েছে। এর পরেও পাহাড়ে অনেক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম হয়েছে চলছে অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। প্রতিনিয়ত হচ্ছে চাঁদাবাজি,বছরে গড়ে ৫০০কোটি টাকা সংগ্রহ করছে সশস্ত্র সংগঠন গুলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, কেন্দ্রীয় যুব পরিষদের সভাপতি আসাদ উল্লাহসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সান নিউজ/এএন