গাইবান্ধা প্রতিনিধি: চরাঞ্চলের ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, কাউন, তিশি, তিল ও ধানসহ বিভিন্ন উৎপাদিত ফসল গাইবান্ধার অর্থনীতির চালিকা শক্তির সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও সেই জনপদের রাস্তা ঘাটের চরম দুরাবস্থা।
আরও পড়ুন: পুকুরে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠা চরের মানুষের জন্য যে সব অবকাঠামো রয়েছে তা মেরামতে নেই কোন উদ্যোগ। ফলে চরের নারী-পুরুষের মাথার ঘাঁম পায়ে ফেলে উৎপাদিত সেই কৃষিপণ্য পারবজনে চরম দুর্ভোগে কৃষকরা।
গত বর্ষা মৌসুমে বন্যা পানিতে ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ায় কৃষি পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটছে।
জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ওয়াপদা বাঁধ সংলগ্ন এলাকার ব্রীজটি বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙ্গে যায়। ওই ব্রীজের উপর দিয়ে কাপাসিয়া ইউনিয়নের অষ্টমীর চর, কাজিয়ার চর, সিংগীজানী , চর কাপাসিয়াসহ লালচামার গ্রামের মানুষ ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের ১,৩,ও ৫নং ওয়ার্ডেও কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। কাপাসিয়া ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্রায় ২২/২৩ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়।
এর ফলে, কৃষিপণ্য পরিবাহনে বিপাকে পড়েছে এলাকার মানুষ। চন্ডিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে চলাচলের ব্যবস্থা করে দিলে সেই সাঁকো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা, মরিচ, ধান, তোষাপাট, বাদাম, গম, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন ধরণের কৃষিপণ্য চাষ হলেও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে।
আগামী বর্ষার আগে স্থায়ীভাবে ব্রীজটি নির্মাণ না করা হলে এ এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা দুর্বিসহ হয়ে উঠবে। স্বাভাবিকভাবে চলাচল ও কৃষিপণ্য বাজারজাত করণে ব্রীজটি দ্রুত নির্মাণ করার দাবি জানান এলাকাবাসী। এব্যাপারে চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী মোস্তফা মাসুম বলেন, স্থায়ভীভাবে ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এএন