লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: মরুর দেশ সৌদি আরবের বিখ্যাত আজওয়া খেজুর চাষ হচ্ছে লক্ষ্মীপুরে। সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী বাজার এলাকায় এই খেজুরের চাষ হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা জারি
আজওয়া ছাড়াও মরিয়ম, খোরমা, সুক্কারিসহ নানা জাতের খেজুরের চাষ করছেন ওই গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য কাজী মো. সেলিম উল্লাহ। তার গড়ে তোলা খেজুর বাগান ও নার্সারি এখন এলাকার সাড়া জাগানো এক উদ্যোক্তা প্রকল্প।
করোনাকালীন সময়ে আঁটি সংগ্রহ করে নিজ বাড়ির আঙিনায় খেজুরের চাষ শুরু করেন সেনাবাহিনীর সাবেক এই সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার। প্রথমে ৭০টি দিয়ে শুরু করা কাজি সেলিম উল্লাহ'র এই বাগানে বর্তমানে ৫ শতাধিক এর বেশি গাছ রয়েছে। যার বেশিরভাগই ফলন দেওয়ার উপযোগী হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি গাছে ফুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী কয়েকমাস পর খেজুর বাজারজাত করা সম্ভব হবে। ৪ বছরে বাগানে ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ হলেও প্রত্যাশিত ফলন আসলে লাভ হবে খরচের দ্বিগুণ। এছাড়াও সেলিম উল্লাহ খেজুর গাছের চারা বিক্রি করেন। আকার বেধে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যে এসব চারা স্থানীয়দের কাছে করছেন।
আরও পড়ুন : মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
কাজি মো. সেলিম উল্লাহ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছেন। তবে প্রত্যেক মাসেই বাড়িতে আসেন তিনি। এসময় নিজেই করেন বাগানের পরিচর্যা। পাশাপাশি বাগানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
খেজুর বাগান পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা সেলিম উল্লাহ'র ভাতিজা কাজি শহিদ জানান, সৌদি নয় সঠিক পরিচর্যা করলে সবখানেই চাষাবাদ সম্ভব। আর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বহুআগ থেকেই আজওয়াসহ অন্যান্য খেজুর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হয়ে আসছে। ওনাদের সফলতা দেখেই চাচা সেলিম উল্লাহ খেজুর চাষ শুরু করেন। আমরাও সাফল্য পাচ্ছি। গাছের চারা বিক্রি করছি। আগামী বছর থেকে খেজুরও বিক্রি করবো।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, চমৎকার একটি উদ্যােগ নিয়েছেন সেলিম উল্লাহ। এখন ওনাকে দেখে খেজুর চাষে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ খেজুরের চারা কিনেও নিয়েছেন।
সান নিউজ/এমআর