জেলা প্রতিনিধি : গাইবান্ধায় বাগদা-ফার্মের আদিবাসী সাঁওতাল বাঙ্গালীর প্রান্তিক পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩ সাঁওতাল হত্যার বিচার ও ৭ দফা দাবিতে শোক র্যালি ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : যুব সমাজের অর্জিত বিপ্লব নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে
বুধবার (৬ নভেম্বর) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ কাটামোড়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মিঃ বার্নাবাস টুডুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু, আদিবাসী গবেষণা পর্ষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ন্যায়পাল রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনের এড. রায়হান কবির, রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক কনক রহমান, রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলন রংপুরের আহবায়ক অধ্যাপক চিনু কবির, রাষ্ট্র সংষ্কার আন্দোলন গাইবান্ধার সভাপতি মৃণাল কান্তি বর্মন, গাইবান্ধা যুব সংষ্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক কনক সরকার, আতাউর রহমান সাবু, সুফল হেমব্রোম, স্বপন শেখ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন বলেন, বাগদা ফার্ম তিন হত্যার বিচার, মিথ্যা মামলাসহ প্রকৃত ভূমির মালিকরা যাতে জমির মালিকানা ফিরে না পায় সেজন্য গুটিকয়েক নেতা এই সাধারণ ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করছে। কিছু নেতা গাইবান্ধায়, কিছু নেতা ঢাকায় রাজনৈতিক এনজিও বাটপারদের নিয়ে নিজেদের উন্নয়নে ব্যাস্ত। তাদের কাজ হলো ভালো ভালো কথা বলে সাধারণ মানুষের আবেগ বিক্রি করে খাওয়া আর অন্যদের দোষারোপ করা। আপনারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাধারণ কৃষক এই জমির মালিক। এই টাউট—বাটপাররা যাতে আর নতুন করে আপনাদের মাথা বিক্রি করতে না পারে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড, নিহত বেড়ে ৪
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বর্তমান উপদেষ্টাগণকে আবারও মনে করে দিতে চাই, আপনারা স্বাধীন ভূমি কমিশন গঠন করে প্রকৃত জমির মালিকদের মাঝে জমি ফেরত দিন, হত্যা মামলার বিচার করুন, মিথ্যা মামলা নিষ্পত্তি করুন।
এ সময় বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু বলেন, আবেদন জমা হয়েছে, অলরেডি মামলা নিষ্পত্তির আশ্বাস দিয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। আশা করি খুব দ্রুত ভালো খবর আসবে। কিন্তু কিছু দালাল চায় না সমস্যার সমাধান হোক, সমাধান হলে তো ব্যবসা হবে না।
তিনি বলেন, সব জায়গায় বৈষম্য দুর হচ্ছে আর বাগদা ফার্মে বৈষম্য বাড়ছে। একসময় সবাই এক ছিল সেখান থেকে এখন ৩/৪ ভাগ হচ্ছে, আদিবাসী বাঙালী হয়তো আলাদা হবে। ২০১৮ সাল থেকে এদের এক করার চেষ্টা করছি, আওয়ামী ফ্যাসিজমের কারণে সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আরো নতুন কিছু যোগ হয়েছে— নেতৃত্ব, জমি বন্ধক রাখা, পুকুর বন্ধক রাখা, এর ধান ও কাটা, একজনের জমি আর একজন দখল করা, বালুর পয়েন্ট ব্যবসা, সদস্য ভর্তি, প্রতি বিঘা জমির জন্য সাধারণ কৃষকদের চাঁদা ৫০০/৩০০, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের চাঁদা, এনজিও অনুদান, রাজনৈতিক অনুদান, ব্যক্তি অনুদান, বিদেশি দান অনুদান, ভাগবাটোয়ারা, ঐতিহ্যের বাংলা তারি, নতুন কতুবদের ইন্ধন, আগের আওয়ামী দালাল বর্তমান দালাল, স্থানীয় গ্রামের আদিবাসী বাঙালী বস্তির আদিবাসী বাঙালী ক্ষমতার বিবাদ, জমির প্রকৃত কাগজ ওলা ভুয়া দাবি ইত্যাদি।
সান নিউজ/এমআর