জেলা প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় একমাস পর খাগড়াছড়ি জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত এ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ খাতের দীর্ঘ স্থবিরতা কাটিয়ে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে এমন প্রত্যাশা তাদের।
আরও পড়ুন: বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২
মূলত বৈশ্বিক মহামারি করোনাকাল থেকেই খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটক খাতে ভাটার শুরু। জাতীয় নির্বাচনসহ বিভিন্ন কারণে পর্যটকের সমাগম ছিল সীমিত।
খাগড়াছড়ির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি পর্যটন খাত। পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্য। হোটেল-মোটেলের পাশাপাশি পরিবহন ব্যবসা নির্ভর করে পর্যটকদের ওপর। কিন্তু দীর্ঘসময় ধরে পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাওয়ায় এ খাতে ধস নামে। ব্যয় সংকোচনে অনেকেই ছাঁটাই করে দিয়েছেন কর্মচারী। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে আসায় আবারও স্বপ্ন দেখছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্কের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বরত মোহাম্মদ ইউছুফ বলেন, এতোদিন পর্যটক বন্ধ থাকায় অলস সময় পার করেছি। পর্যটকের সমাগম বাড়লে কর্মব্যস্ত সময় কাটবে।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার মজুমদার বলেন, পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতিতে আছে। ক্ষতি পোষাতে লম্বা সময় ব্যবসা করতে হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর থেকে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক নিয়মে যাতায়াত করতে পারবেন পর্যটকরা।
সান নিউজ/এএন