নিজস্ব প্রতিবেদক:
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, একেএমএ আউয়াল অবৈধ উপায়ে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকা অর্জন করেন। আর সরকারের সম্পত্তি দাখিল বিবরণীতে ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেন।
একইভাবে তার স্ত্রী মিসেস লায়লা পারভীন জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকা অর্জন করেন। যা তার আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন বলে দুদকের মামলায় উল্লেখ করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, একেএমএ আউয়াল জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অর্জিত উৎস ও খাতের মিথ্যা বিবরণী দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭( ১) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
একইভাবে সাবেক এমপি আউয়ালের স্ত্রী মিসেস লায়লা পারভীন জ্ঞাত আয় এর সাথে সামঞ্জস্যহীন বর্ণিত সম্পদ অর্জন করার অপরাধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ এর (২) ৪ এর (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছন।
দুদকের একটি সূত্র জানায় এছাড়াও নিজের কন্যা এবং পুত্রদের নামে যে সম্পদের বিবরণ দিয়েছেন সেসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি এই সাবেক এমপি। মাছের ঘেরসহ কিছু ব্যবসার যে বিবরণী তিনি দুদকে দাখিল করেছেন সরেজমিনে সেসবের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলেও জানান দুদকের এক কর্মকর্তা।
এ ছাড়া পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া মৌজার জেএল-৪৬, খতিয়ান নং-২৯৩, রাজার পুকুর নামে পরিচিত ৪৪ শতক সরকারি খাসজমি চতুর্দিকে দেয়াল নির্মাণ করে দখলে নিয়ে নেন আউয়াল।
এই অপরাধে আউয়ালের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় তৃতীয় মামলা করে দুদক।
একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পর পর দুবার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।