মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মা-ইলিশ সংরক্ষণে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মুন্সীগঞ্জের পদ্মা, মেঘনা নদীতে অবাদে মাছ শিকার করছে জেলেরা। তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে ইলিশ শিকারের মহোৎসবে মেতেছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) বেলা ১২ টা পর্যন্ত পদ্মা ও মেঘনা নদীতে গিয়ে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে হরহামেশা। নিষেধাজ্ঞার ১ সপ্তাহে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে চলছে মা ইলিশ শিকার।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
সূত্রে জানা যায়, ভোর রাতের দিকে, দুপুরের পর এবং সন্ধার পর থেকে জেলেরা ইলিশ শিকারে মেতে উঠেন। সকাল ৯টা-দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের তৎপরতার মধ্যেও অনেক জেলে নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন। আবার দুপুর ১২টার পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি কমে যাওয়ার সুযোগে ইলিশ শিকারে নামে জেলেরা। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিস্তীর্ণ নদীতে জেলেরা প্রকাশ্যে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করার পাশাপাশি নদী এবং তীরে এনে তা বিক্রি করছেন।
সরজমিন শনিবার ও রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর গজারিয়ার কালিপুরা, নয়ানগর, সদর উপজেলার ঝাপটা, কালির চর, কাউয়াদি এবং বকচর এলাকায় জেলেদের নদীতে ইলিশ শিকার করতে দেখা গেছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও কে শোনে কার কথা। নদীতে ঘুরে জেলেদের মাছ শিকারের দৃশ্য দেখে বোঝার উপায় ছিলো না। দেশে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার মৌসুম চলছে। এ সময় পুরো মুন্সীগঞ্জ ঘুরেও প্রশাসনের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি।
আরও পড়ুন: কোস্টগার্ডের অভিযানে আটক ১
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের ঝিমিয়ে পড়া অভিযানের কারণেই নদীতে জাল ফেলতে সাহস পাচ্ছেন জেলেরা। অভিযান জোরদার না করা গেলে মা ইলিশ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞায় জেলা মৎস অফিস, কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশ সহ অন্যান্য দপ্তরের
কর্মকর্তাদের নজরদারি বৃদ্ধি ও অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।
এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। এতে জেল ও জরিমানা করা হচ্ছে। এ সময় কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশকে নদীতে টহল জোরদার করার জন্য বলা হবে।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় নিহত ২
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম তৌফিক মাহমুদ জানান, মা ইলিশ সংরক্ষণে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তাছাড়াও আমাদের জনবল ও নিজস্ব কোন যান নেই। এতে অসাধু জেলেদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশ এবং মৎস্য বিভাগ সবাই মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।
সান নিউজ/এএন