মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের শোলারচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন নারীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মুন্সীগঞ্জে আ’লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে পূর্ব বিরোধের জেরে আধারার সোলারচর গ্রামে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া গ্রুপের সাথে আধারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহেক মিজি গ্রুপের লোকজনের এই সংঘর্ষ হয়।
তবে সুরুজ মিয়া গ্রুপের সাথে এক সময়ের চির শত্রু আলি হোসেন সরকার গ্রুপের লোকজনও হামলার ঘটনা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু
ককটেল ও ছোঁড়া গুলির আঘাতে গুরুতর আহত প্রবাসীর স্ত্রী নিপা সরকারকে (২৫) উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসাপাতালে আনা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যরা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম। বর্তমানে ওই গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে।
আরও পড়ুন : ভালুকা সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধা নিহত
এ ব্যাপারে আধারা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহেক মিজি বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া (সাবেক মেম্বার) এর নির্দেশে আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালায়। তাদের ছোঁড়া ককলেট ও গুলিতে আমাদের ৬ জন আহত হয়েছে। প্রায় ৭/৮টি ঘর ভাঙচুর করেছে ওরা।
এদিকে, অভিযোগের কথা অস্বীকার করে আধারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিয়া মেম্বার বলেন, আমরা লোকজনের উপর ওরা হামলা চালায়। আমি এখন গ্রামে বসবাস করি না। আমাদের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি খলিলুর রহমান শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সান নিউজ/এমআর