জেলা প্রতিনিধি: রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে সুমি আক্তার মিতা (৩০) নামে ১ নারীকে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ২টায় গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ নিহতের বসতঘরের কক্ষ হতে লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
নিহত নারী, ঢাকার দোহার উপজেলায় চৈতা বারাত নারিশা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বিগত (৭-৮) বছর ধরে যৌনপল্লীর জাহাঙ্গীর ও দবিরের বাড়ির দোতলায় ১টি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
পুলিশ ও যৌনপল্লী সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ১১টায় সুমি পাশের সাঈদের বাড়ির ডান্স ফ্লোরে নাচানাচি করেন এবং মদ পান করেন। এরপর সেখান থেকে ১ জন খদ্দের নিয়ে নিজ ঘরে ফিরে আসেন। এর পরে সোমবার সকালে অনেক বেলা হয়ে গেলেও তাকে না দেখতে পেয়ে বাড়ির অন্যান্য মেয়েরা তার কক্ষে যায়। তারপর সেখানে তারা কক্ষের দরজা খোলা দেখতে পান এবং তাকে ভেতরে জানালার গ্রিলের সাথে রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বিছানায় মৃত দেখতে পান। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিলো। এ ঘটনায় যৌনপল্লীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তার পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকার এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। পরে সেখানে সুরতহাল রিপোর্ট করে দুপুর ২টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, নিহত সুমির নামে ৪ বছর বয়সী ১টি কন্যা সন্তান রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কেন বা কী কারণে এবং কে-বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আমরা এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।
সান নিউজ/এমএইচ