জেলা প্রতিনিধি: দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: বাহার ও তার মেয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দ
দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এমনিতে এই শহরে কিছুদিন ধরে পর্যটকের মন্দা ছিল। গত দুই সপ্তাহ ধরে পর্যটকরা আসতে শুরু করলেও নিরাপত্তা নিয়ে অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন তারা।
দেশের নানা প্রান্ত থেকে কর্ম ব্যস্ততা ফেলে মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ছুটে আসেন সমুদ্রশহর কক্সবাজারে। তবে সম্প্রতি কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা পর্যটকদের আতঙ্কিত করেছে।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য অ্যাডভোকেট প্রতিভা দাশ বলেন, আমি প্রায় একা এবং পরিবার নিয়েও দেশে এবং দেশের বাইরে ঘুরতে যাই। বিদেশে পর্যটকদের নিরাপত্তার যে ব্যবস্থা তার কাছাকাছিও কক্সবাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। পর্যটকদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশাসনের দেওয়ার কথা তারা সেটা দিতে ব্যর্থ। কক্সবাজার বা বাংলাদেশের যেখানেই ঘুরতে যাই নিজের সম্ভ্রমহানির ভয় থাকে। নিরাপত্তা নিয়ে ভাববো- নাকি নিজেকে প্রকৃতির সঙ্গে যোগ করবো সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়।
আরও পড়ুন: সীমান্তে ভারতীয় মহিষ আটক
শহরের তারকা মানের হোটেল কক্স টুডে’র জেনারেল ম্যানেজার বলেন, কক্সবাজারের যে সৌন্দর্য আছে, তা দেশের বাইরে আমরা এখনো তুলে ধরতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার ওপরই এ খাতের ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
কক্সবাজারের পর্যটন সেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সারা দেশের মতো কক্সবাজারেও সংকট চলছে। এটি সমাধানের চেষ্টা করছে প্রশাসন। একই সঙ্গে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুবিধা বাড়াতে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গেও কথা হচ্ছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারে যে কয়েকটি ছিনতাই এবং সৈকতে নারী হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই বিষয় প্রশাসন কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। এসব যেন আগামীতে আর না ঘটে সে দিকেও কঠোর নজর রাখছে প্রশাসন। এই মুহূর্তে কক্সবাজার পর্যটকদের জন্য নিরাপদ এবং তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দেশজুড়ে রাষ্ট্র সংস্কার চলছে। বর্তমানে কক্সবাজারে অধিকাংশ কর্মকর্তা নতুন। আমরা পরিকল্পিতভাবে কক্সবাজারকে সাজাতে চাই। যাতে পুরো বিশ্বে কক্সবাজারের নাম আরও সমৃদ্ধ হয়।
সান নিউজ/এএন