জেলা প্রতিনিধি: টানা বৃষ্টিতে আবারও নোয়াখালীতে বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বানভাসী মানুষ নতুন করে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ইলিশের আড়তে অভিযান
জেলা আবহাওয়া কার্যলয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২ দিনের টানা বৃষ্টিতে নোয়খালীতে পানি আবারও বেড়ে গেছে। আগামী কয়েক দিন বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস রয়েছে। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে টানা বৃষ্টির কারণে জনজীবনে স্থবিরতা বিরাজ করছে। অফিসগামী বা জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ছাড়া তেমন কেউ ঘর থেকে তেমন বের হচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে বেড়ে জলাবদ্ধতা বেড়েছে। নিন্মাঞ্চলে বন্যা ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জলাবদ্ধতার পানি নামছে না। নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
পূর্ব লক্ষীণারায়নপুর গ্রামের রুস্তম আলী বলেন, ‘আমরা শহর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে থাকি। কিন্তু মনে হয় আমরা কোনো এক অজপাঁড়া গ্রামে বা চরাঞ্চলে বসবাস করছি। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে আসার পরে থেকে পানির সঙ্গে যুদ্ধ করছি। আজ একটু কমে, কাল আবারও বৃষ্টি হলে বাড়ে। ঘর-বাড়ি বসবাসের অনুপযোগী। রান্নার সমস্যা হচ্ছে। নিন্ম আয়ের মানুষ, তাই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারের সামর্থ্য নেই।’
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, নোয়াখালীর ৮ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়নের প্রায় ১২ লাখ ৫ হাজার ৩০০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। ১২৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৯ হাজার ৩২০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে ৫৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা, ১ হাজার ৭৭৩ মেট্রিকটন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ৫ লাখ টাকার গোখাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। এখনও সাড়ে ১৭ লাখ টাকা, ২৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও ১০ লাখ টাকার গোখাদ্য মজুদ রয়েছে। বানভাসি কোনও মানুষ যাতে খাদ্যের জন্য কষ্ট না পায় সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এএন