লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানি কমছে না নিম্নাঞ্চলের। খালে বাঁধ, কচুরিপানাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকায় ধীরে নামছে পানি। পানি প্রবাহের এসব বাঁধা অপসারণে এবার উদ্যোগ নিয়েছে লক্ষ্মীপুরের ডিসি।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের মাদাম ব্রীজ সংলগ্ন রহমতখালী খাল পরিস্কারের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার, জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমদ, জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনসহ কাউন্সিলর ও স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা।
আরও পড়ুন : সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, যতই প্রতিকূলতা থাকুক সকলের সমন্বয়ে লক্ষ্মীপুরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবো। বন্যা পরিস্থিতি, বন্যার দীর্ঘ সূত্রীতা কিংবা জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানি থাকার বড় কারণ হচ্ছে পানির অবাধ প্রবাহ, যা এখানে ছিল না। বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে। আমরা সমস্ত প্রতিকূলতা পরিষ্কার করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে হয়তো একটি জলাশয় পরিস্কার করছি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে অঙ্গিকার করছি- লক্ষ্মীপুরকে জঞ্জাল মুক্ত করার জন্য, পরিস্কার করার জন্য যা প্রয়োজন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে করবো। লক্ষ্মীপুর আসলেই সমৃদ্ধ নগরীতে রুপান্তরিত হতে পারে। আমরা লক্ষ্মীপুরবাসীকে একটা স্থায়ী সমাধান দিতে চাই। যেন এ বন্যা ও বন্যার সময় ছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে কোন ধরণের সংকট বা দূর্ভোগ পোহাতে না হয়। এতে সকলের সহযোগীতা কামনা করি। সবার সহযোগীতা পেলে আরও বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বন্যা পরিস্থিতির শুরু থেকে খালে অবৈধ বাঁধ অপসারনের কাজ করেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমানসহ জেলার প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রামগঞ্জ ব্লাড ডোনেট ক্লাব, কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞসহ বিভিন্ন সংগঠন।
সান নিউজ/এমআর