জেলা প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে সবিতা রাণী দে (৫৩) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ধলেশ্বরী নদীতে বাবা-মেয়ে নিখোঁজ
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের প্রতিবেশীর শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সবিতা রাণী দে ভাটপাড়া গ্রামের মিলন কুমার দে’র স্ত্রী। মিলন কুমার পেশায় চা বিক্রেতা।
মিলন কুমার দে’র ভাগনে তাপস কুমার দে জানান, মামি সবিতা রানি দে এবং মামা মিলন কুমার দে’র দুই মেয়ে। তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। মামা ও মামি দুজনে বাড়িতে থাকতেন। তাদের দুটি গরু আছে। গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তারা দুজন বাড়িতে সকালের নাস্তা করেন। এরপর দুপুরের খাবার নিয়ে মামা দোকানে চলে গেলে সকাল ৯টার দিকে মামি ঘরে তালা দিয়ে একটি ঝুড়ি নিয়ে গরুর খাদ্য বাঁশের পাতা সংগ্রহ করতে পাশের বাশবাগানে যান। এরপর থেকে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। দুপুরে কয়েকবার ফোন করে মামিকে না পেয়ে মামা পাশের বাড়ির এক গৃহবধূকে বিষয়টি জানান। তিনি বাড়িতে গিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ওই নারী প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানালে তার খোঁজ শুরু করেন। এলাকার লোকজন বাঁশবাগানে গিয়ে তার মাথার খোঁপা এবং কয়েকটি বাঁশের পাতা পড়ে থাকতে দেখেন। গভীর রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : ভোলায় অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত আটক
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় তার খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাঁশবাগানের একপাশে নিয়ামুল ইসলামের শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা কিছুটা উঁচু দেখতে পাওয়া যায়। এলাকার কয়েকজন সেপটিক ট্যাংকের ঢাকনা উঁচু করতেই একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ভাটপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থেকে পুলিশ এসে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেপটিক ট্যাংক থেকে মামির মরদেহ উদ্ধার করে।
অভয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, ভাটপাড়া গ্রামের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে গৃহবধূ সবিতা রাণী দে’র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
সান নিউজ/এমআর