জেলা প্রতিনিধি: দেশের সকল শিল্পাঞ্চলগুলোতে সরকার, মালিক এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকার পরেও থামছে না শ্রমিকদের অসন্তোষ। এর মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আবারও নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করছে দেশের পোশাক শ্রমিকরা। এতে আশুলিয়ায় ৫১টি পোশাক কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়কে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, সোমবার সকালে ১টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এই সড়ক অবরোধ করেন। এরপর তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। কিন্তু, এরই মধ্যে ৪৩টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ৮টি কারখানায় শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
তিনি জানান, সোমবার কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: আলাদা হলো শিফা-রিফা
এদিকে শিল্প মালিকরা জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প অস্থিতিশীল করে তুলতে দেশি-বিদেশি কিছু চক্রান্ত চলছে। সাম্প্রতি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় নানা অজুহাতে আন্দোলন ও কারখানা ভাঙচুর শুরু করছেন দুর্বৃত্তরা। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে, ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে পড়বে দেশের পোশাক খাত। এ সময় ফায়দা নিতে ওত পেতে আছে বেশ কিছু দেশ।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল জানান, দেশে পোশাক শিল্পে অস্থিরতার পেছনে বহিরাগত শক্তির সঙ্গে দেশি-বিদেশি চক্রের যোগসাজস থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সাজেকে আটকা বহু পর্যটক
অপরদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেশে তৈরি পোশাক শিল্পে সরাসরি প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত এবং পরোক্ষভাবে উপকারভোগী কমপক্ষে ২ কোটি মানুষ। এই শিল্প বিপদে পড়লে বিশাল জনগোষ্ঠী বিপদে পড়বে, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি।
সান নিউজ/এমএইচ