জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল জেলায় পারিবারিক কলহের জেরে শিমুল হোসেন গাজীর (৩৪) ব্যক্তিকে হত্যা করে ১ সপ্তাহ ধরে নিজ ঘরেই বালিচাপা দিয়ে রেখেছিলেন স্ত্রী।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার কাইচদাহ এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী পলি বেগমকে (৩০) আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় নিহত ২
নিহত ব্যক্তি, যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর এলাকার আব্দুল্লাহ গাজির ছেলে। তার স্ত্রী পলি বেগমকে (৩০) নড়াইল সদর উপজেলার কাইচদাহ গ্রামের নূর মোহাম্মদের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, নিহত শিমুলের ২ স্ত্রী। ১ম স্ত্রী থাকেন শিমুলের গ্রামের বাড়ি শ্রীধরপুরে। ২য় স্ত্রী পলি বেগম থাকতেন নড়াইল সদর উপজেলার কাইচদাহ গ্রামে। এর ফলে নিহত শিমুল এখানে প্রাই আসা-যাওয়া করতেন। এরপর গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হয়। এর পরে তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলে তার কোনো ধরনের সন্তান মেলে না। তারপর ২য় স্ত্রী পলির কাছে শিমুলের জানতে চাইলে শিমুল তার কাছে নেই বলে জানায়ি। তার পরে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) শিমুলের ভাই বাদি অভয়নগর থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেই অভিযোগের তদন্তের একপর্যায়ে সোমবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিমুলের ২য় স্ত্রী পলিকে হেফাজতে নেন। এ সময় পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে শিমুলকে হত্যা ও তার নিজ বাড়িতেই চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন ২য় স্ত্রী পলি। এর পরে পলির কথামতো কাইচদাহ গ্রামে গিয়ে পলির ১টি ঘর থেকে বালিচাপা দেওয়া শিমুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকে কচুরিপানা অপসারণ
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, শিমুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ২য় স্ত্রী পলি বেগম। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমএইচ