জেলা প্রতিনিধি: বগুড়া জেলার আদমদীঘিতে প্রেমিকের কাছে পালিয়ে আসার পরে স্বজনরা প্রেমিকাকে ফিরে নিয়ে যাওয়ায় মনের কষ্টে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন নাহিদ হোসেন (২০) নামে ১ তরুণ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই লেকে কচুরিপানা অপসারণ
নিহত তরুন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কুড়াহাল গ্রামের হাবিল মণ্ডলের ছেলে।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, নিহত নাহিদ হোসেনের সাথে মুন্সীগঞ্জের ১ মেয়ের মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) মুন্সীগঞ্জ থেকে নাহিদের বাড়িতে চলে আসে ঐ তরুণী। এর পরে নাহিদ তাকে নিয়ে নওগাঁ দুবলহাটিতে নানার বাড়িতে যায়। এই বিষয়টি জানতে পেরে তরুণীর স্বজনরা তাদেরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে সোমবার ভোরে দুবলহাটি থেকে মুন্সীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
তারপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অদমদীঘির ফায়ার স্টেশনের কাছে এসে নাহিদকে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে যায় তার স্বজনরা। তার পরে নাহিদ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে চলন্ত বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় নিহত ২
নিহতের মা নাসিমা বেগম বলেন, ঐ মেয়ের স্বজনরা তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর তারা ফিরে যাওয়ার পথে কৌশলে নাহিদকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এই ঘটনায় অভিমানে তার ছেলে নাহিদ বাসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে মুন্সীগঞ্জের কোথায় মেয়ের বাড়ি, সেই সম্পর্কে তাদের কিছু জানা নেই।
আদমদীঘি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মঈন উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
সান নিউজ/এমএইচ