জেলা প্রতিনিধি: দেশের বন্যাকবলিত জেলা গুলোর কিছু স্থানে পানি কমতে শুরু করেছে। এদিকে লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনী থেকে ধীর গতিতে নামছে বন্যার পানি। এ সময় মানবেতর দিন কাটাচ্ছে এই দুর্গত এলাকার লাখ লাখ বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট
এদিকে লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরগতিতে নামায় এখনও ডুবে আছে এই জেলার ৫ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে চরম ভোগান্তিতে দিন কাটছে এই জেলার ১০ লাখের বেশি মানুষের।
অপরদিকে দুর্গত এলাকা গুলোতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ সময় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হলেও তা অপ্রতুল বলছেন দুর্গত ব্যক্তিরা। এরই মধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগবালাই এবং দ্রুতই এটি ছড়াচ্ছে বলেও জানা যায়।
এরপর কুমিল্লা সদর, বুড়িচং ও চৌদ্দগ্রাম থেকেও ধীরগতি নামছে বন্যার পানি। কিন্তু, নাঙ্গলকোট, মনোহরগঞ্জ ও লাকসামে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। এই জেলার প্রায় ১১ লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থাতেই আছে।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে শিশুর মৃত্যু
এ সময় খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে মানবেতর দিন কাটছে এ জেলার বাসিন্দারা। এদিকে ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৬ হাজারেও বেশি মানুষ। যে সকল এলাকা থেকে বানের জল নেমেছে সেখানকার বাসিন্দারা এখন ঘর মেরামতে ব্যস্ত।
অন্যদিকে নোয়াখালীর দুর্গত এলাকা থেকেও নামছে বণ্যার পানি। কিন্তু তা খুবই ধীরগতিতে। এ সময় বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই জেলার বাসিন্দাদের। এতে এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকা। তবে বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখনও ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত মদপানে নিহত ১
এদিকে মুছাপুর ক্লোজার ধসের কারণে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। এতে হুমকিতে পড়েছে বাড়িঘরসহ বহু স্থাপনা।
এ সময় ফেনীতে উন্নতির দিকে বন্যা পরিস্থিতি। কিন্তু, এতে কমেনি দুর্ভোগ। এদিকে সদর, সোনাগাজী ও দাগনভূঞা উপজেলার অনেক এলাকা গুরো এখনও ডুবে আছে। এতে পানিবন্দি প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এ সময় বহু মানুষের দিন কাটছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের টসে বিলম্ব
তবে এ সকল এলাকায় এখনও খাদ্য সংকট রয়েছে বলে জানা যায়। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় বন্যায় এই পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছেন। চলমান এই বন্যায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে সর্বশেষ ৫২ প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এমএইচ