নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর: শহরের ঝিলটুলীর ভরাট হয়ে যাওয়া ঝিলপাড়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থাতেই দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসব দোকানপাটের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চরকমলাপুর অনাথের মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড়ে বাঁশ-খুঁটি গেড়ে কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঝিলটুলীর বাসিন্দা এখতিয়ার রহমান ইক্তি। তার দাবি, সাত বছর আগে ফরিদপুর পৌরসভা থেকে ৪০ ফুট লম্বা জমি বন্দোবস্ত নেন তারা। সেখানেই তিনি দোকানঘর নির্মাণ কাজ করছিলেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমানে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা রাস্তার পাশের ওই জমির সামনে রাস্তার পাশে ন্যূনতম তিন ফুট জমিও অবশিষ্ট নেই। সেখানে কোনোভাবেই পৌরসভার জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করা সম্ভব নয়। আর মালিকানাধীন জমির সামনে এসব দোকান নির্মিত হলে ওই জমিতে প্রবেশের রাস্তাই বন্ধ হয়ে যায়।
একই এলাকার বাসিন্দা আশিকুল হক জানান, ঝিলপাড়ের ওই স্থানটি ফরিদপুর মৌজার এসএ ৯৪৯ নম্বর দাগের অন্তর্ভুক্ত। এই জমি নিয়ে ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজের সঙ্গে তাদের মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করে উভয়পক্ষকেই নিজ নিজ অবস্থানে স্থিতিশীল থাকতে ও কোনো কর্মকাণ্ড না করার আদেশ দিয়েছেন। ওই স্থানে আদালতের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ টাঙানো আছে।
তিনি বলেন, রাস্তার ওপাড়ে এসএ ৯৪৯ নম্বর দাগের বাইরে পৌরসভার বর্তমানে কোনো জমি নেই।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র মেখ মাহতাব আলী মেথু বলেন, সেখানে রাজেন্দ্র কলেজের হোস্টেল নির্মাণ শুরুর আগে কয়েকজনকে পৌরসভা বন্দোবস্ত দিয়েছিল। বিষয়টি কাগজপত্র দেখে তিনি ভালো বলতে পারবেন।
সান নিউজ/ এআর