নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয়জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সেই ছাত্রী এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় ওই ছাত্রী বলেন, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের ছয়জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার পর থেকে ফেসবুকের বিভিন্ন আইডি এবং গ্রুপে আমার নামে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মিথ্যা সংলাপ পাবলিক পোস্ট, কমেন্ট ও শেয়ারের মাধ্যমে প্রচার করে আমার ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদাহানি করে আসছে। এই ঘটনায় আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছি। এই ব্যাপারে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ শাস্তির দাবি জানান ওই ছাত্রী।
মামলায় অভিযুক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা হলেন, তামান্না ফেরদৌস শিখা, তামান্না আকতার, তাজুল ইমলাম আকাশ, শারমিন রিজিয়া, এইচ এম হোসাইন বিন নুর, মো. তুহিন মোল্লা হৃদয়, মেহেদী হাসান সুজন, রেজাউল করিম কাজল ও ফেসবুক গ্রুপ স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের মামলা করার পর বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব থেকে হাসান আল মামুনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদের দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান ও রাফিয়া সুলতানাকে রাখা হয়েছে। তাদেরকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ও মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, অপহরণ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে নুরুল হক নুর ও তার ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী।
সান নিউজ/ বিএম/ এআর