জেলা প্রতিনিধি: মিয়ানমারের নাফ নদীর লাল দ্বীপে মাইন বিস্ফোরণের কারণে জোবায়ের (১৯) নামের ১ রোহিঙ্গা তরুণ নিহত হয়েছেন। এই বিস্ফোরণে তার ডান পা’র হাঁটুর নিচ থেকে উড়ে যায়। এই ঘটনায় আরও ২ জন আহত হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি
নিহত তরুন, হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলো- একই এলাকার আবুল কালামের ছেলে শাহ আলম (২৮) ও প্রকাশ মিস্তির ছেলে শুক্কুর (২১)।
আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার কারণে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নৌ-পুলিশের টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ পরিদর্শক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, রোববার দুপুর ১২টায় রোহিঙ্গা যুবক শাহ আলম, মো. জোবায়ের ও মো. শুক্কুর মিলে এক সাথে নাফ নদীতে কাঁকড়া শিকারে যায়। এরপর একপর্যায়ে তারা নাফ নদীর শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লাল দ্বীপে গিয়ে কাঁকড়া শিকার করতে থাকেন। এ সময় কাঁকড়া ধরার একপর্যায়ে কাঁদামাটিতে পুঁতে রাখা ১টি মাইন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে তারা ৩জনই আহত হয়। এরপর তারা পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমার অভ্যন্তরে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় প্রাণ গেল নানা-নাতনীর
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আশিকুর রহমান জানান, আহত ২নকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নৌ-পুলিশের পরিদর্শক জানান, বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে শাহ আলম ও মো. শুক্কুর বাড়ি ফিরে এলেও গুরুতর ভাবে আহত মো. জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যায়। এর পরে খবর পেয়ে স্বজনরা জোবায়েরকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখান থেকেই হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। বিস্ফোরণে আহত ২জনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। বিস্ফোরণে মো. জোবায়েরের ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সম্পূর্ণ উড়ে গেছে। ঘটনায় নিহতের লাশ বাড়িতে রয়েছে। এই বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ