জেলা প্রতিনিধি: জামালপুর জেলায় পানি কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর। শনিবার সকাল থেকেইেএই পানি কমতে শুরু করে। তবে পানি কমলেও তা বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় যমুনা নদীর তীরে নিম্নাঞ্চলে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠসহ বসতবাড়ি সকল কিছু পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে আছে ৫০ হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: ফের আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন
শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ৬টার দিক থেকে যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ১ সে.মি পানি কমে বিপৎসীমার ৯৩ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এ সময় জানা যায়, নদীর পানি বেড়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিনাডুলী, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা, কুলকান্দি, নোয়ারপাড়া, পলবান্দা, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন, চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, চর আমখাওয়া, ডাংধরা, পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, পৌরসভার, মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা, কুলিয়া, মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ও জোড়খালী ইউনিয়নের এলাকা গুলো প্লাবিত হয়। এর ফলে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই সময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নদীর তীরে নিম্নাঞ্চলের মানুষ। এ সকল অঞ্চলে মানুষ খুবই হতদরিদ্র। এর ফলে ঐ এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র ও উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা পানিবন্দি হয়ে থাকায় অনেক দিনমজুরের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। এর কারণে কষ্টে রয়েছে দিনমজুরেরা। এছাড়াও উপজেলা শহরের সাথে নিম্নাঅঞ্চলের ইউনিয়নের সাথে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: অনেক ঝড়ঝাপটার পর পদ্মাসেতু নির্মিত
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিই দেওয়ানগঞ্জের যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পানি ১ সে.মি কমে বিপৎসীমার ৯১ সে.মি ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, এই জেলার পানিবন্দি সকলের জন্য ১৯০ টন চাল ও ১,৩০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে ৪৫ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। এ সময় যেকোনো এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের খবর পেলেই সেখানে দ্রুত ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে।
সান নিউজ/এমএইচ