জেলা প্রতিনিধি: রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা আ’লীগের ৭৫তম জয়ন্তী অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পথে ২ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ২ পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এই সময় ১টি দোকান ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: জয়ন্তী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রোববার (২৩ জুন) রাত ৮টায় পাংশা উপজেলার মাছপাড়া বাজার ও সুলতান মোড়ে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এরপর আহতদের পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পাংশা উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামসুল আলম মৃধা অভিযোগ করে বলেছে, আমার বড় ভাই মাছপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সুরুজ মৃধা মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। অপরদিকে পাংশা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োর ছেলে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার সিসিলও এই একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। যার কারণে আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ২টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পাংশায় যায়। এই অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে মাছপাড়া বাজারে চেয়ারম্যান ও তার ছেলের নেতৃত্বে হামলা এই চালানো হয়। এ সময় অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে হিরকের দোকান ভাঙচুর করেন তারা। এরপর আহতদেরকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয়ের শুভেচ্ছা
পাংশা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ৭৫ তম জয়ন্তি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে মাছপাড়া বাজারে আমার নেতাকর্মীদের আটকিয়ে বলে তোরা গালিগালাজ করলি কে। এরপর তাদের ওপর হামলা চালায়। এই সময় পাল্টা হামলা চালালে তারা পিছু হটে ও দোকান ভাঙচুর করে দোষারোপ করছে আমাদেরকে। ঘটনার পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় সুলতান মোড়ে ২ জনকে মারধর করে। এতে তাদের পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান, এই মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করেনি। তারাদের অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমএইচ