নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলা: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আকষ্মিক টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘরচাপা পড়ে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন ভোলা-৪ আসনের (চরফ্যাশন-মনপুরা) সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার আছলামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বদ্দারহাট থেকে দুদু মিয়ারপুল পর্যন্ত এলাকায় টর্নেডো আঘাত হানে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. রাজিব মাতুব্বরসহ একাধিক লোকজন জানান, ১০ মিনিটের টর্নেডোতে বহদ্দারহাট, উচাপুল, মাজেদের দোকান ও ভুলাইমোড় এলাকার শতাধিক ঘর-দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়। এতে ওইসব ঘরের আসবাবপত্র ও দুইটি অটোরিকশাসহ ৩০টি বসতঘর ও তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কিছু বড় বড় গাছ উপরে পড়ে চরফ্যাশন-বেতুয়া সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয়রা রাস্তা থেকে গাছ অপসারণ করেন।
এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ইব্রাহীম ভুলাই, মাওলানা ছালাহ উদ্দিন, আবুল কালাম, কাঞ্চন, মাহবুব ও আবুল কালাম মাঝির নাম পাওয়া গেছে।
রোববার সকালে ইউএনও মো. রুহুল আমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘টর্নেডোর আঘাতে ৫৫ থেকে ৬০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে তাদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে তালিকা করে চাল, ঢেউ টিন ও নগদ টাকা দেওয়া হবে।’
ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবারের মাঝে এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের পক্ষ থেকেও নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিকেলে আছলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরে আলম মাস্টার, সহ সভাপতি শাহে ইমরান সিকদার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামসহ দলের নেতারা বাড়ি বাড়ি ঘুরে এ সহায়তা দেন।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরে আলম মাস্টার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে তাদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।