নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে পটুয়াখালীর ৪৭৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাল উড়ে গেছে। আবার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানিতে প্লাবিত হয়ে আসবাবপত্রসহ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে দেড়শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
এছাড়া গাছ পড়ে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস অর্ধেক বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
জোয়ারের পানিতে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, গাছ উপড়ে ভবন বিধ্বস্ত হওয়া ও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় আজ পর্যন্ত অর্ধেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু করা যায়নি বলে জানান শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান জানান, পটুয়াখালীতে সরকারি-বেসরকারি ৬৬২টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এর বাইরে এবতাদিয়া মাদ্রাসা ৩৪৯টি ও কওমি মাদ্রাসা ৫১টি তালিকাভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে জাল ভোট দেয়ার চেষ্টাকালে আটক ২
ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২১৮টি কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতির পরিমাণ এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত।
গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো খুব বেশি উন্নত নয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দ্রুততার সাথে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো কঠিন হবে। তিনি সরকারের কাছে দ্রুত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংস্কারের দাবি জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোল্লা মো. বখতিয়ার হোসেন জানান, জেলায় মোট ১২৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার শুভেচ্ছা
এর মধ্যে পটুয়াখালী সদরে ৮টি, দুমকীতে ১৬টি, দশমিনায় ২৭টি, বাউফলে ১১টি, মির্জাগঞ্জে ২১টি, গলাচিপায় ৬৯টি, কলাপাড়ায় ৭৩টি ও রাঙ্গাবালীতে ৩১টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেহেতু আশ্রয়কেন্দ্র ছিল, তাই সেখানে পাঠদান কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করা যায়নি। আজ পর্যন্ত অর্ধেক বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা গেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে এসব বিদ্যালয়ে পুরোপুরি পাঠদান শুরু করা যাবে।
সান নিউজ/এনজে